শীতে ত্বক সুস্থ রাখতে যেসব খাবার খাবেন

0
71
শীতে ত্বক সুস্থ রাখতে যেসব খাবার খাবেন
শীতে ত্বক সুস্থ রাখতে যেসব খাবার খাবেন

শীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এই সময় ত্বকে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। মূলত শীতে আর্দ্রতা কমতে থাকে, যার প্রভাবে আমাদের ত্বক। এর ফলে ত্বক হয়ে পড়ে রুক্ষ ও শুষ্ক। অন্যদিকে, শীতে একি কারণে ত্বক হারায় তার নিজস্ব উজ্জ্বলতা, সঙ্গে হয়ে পড়ে নিষ্প্রাণও।

এমন কিছু খাবার রয়েছে যা শীতকালে আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক তেমনই পাঁচটি উপকারী খাবার সম্পর্কে-

সবুজ শাক-সবজি
শীতকালে মৌসুমি সবজির সমাহার বসে। এসব সবুজ শাক-সবজিতে ভিটামিন এ, সি, কে প্রচুর পরিমাণে থাকে। ভিটামিন এ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ভিটামিন ছাড়াও এ ধরনের শাক-সবজিতে থাকে আয়রন ও খনিজ যা ত্বকের পাশাপাশি চুলকেও রুক্ষ হওয়া থেকে বাঁচায়। তাই শীতের রূপচর্চায় অবশ্যই বেশি করে সবুজ শাকসবজি রাখতে পারেন।

পানি

আমাদের প্রতিদিনের খাবারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পানি। পানি আমাদের শরীর এবং ত্বকে হাইড্রেশনের প্রধান উৎস। পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক নরম, মসৃণ এবং কোমল থাকে। কিন্তু, পর্যাপ্ত পানি পানের অভাবে ত্বকে শুষ্কতা, বলিরেখা এবং দাগের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি কম পানি পান শরীর ও ত্বককে ডিহাইড্রেটেড করে তোলে। যার ফলে ক্লান্তি বাড়ে এবং যে কাউকে বয়স্ক দেখাতে পারে।

সাইট্রাস ফল
শীতকালে সাইট্রাস ফল খেতে পারেন। লেবু, কমলা, মালটা এ জাতীয় ফল। এর মধ্যে কমলা বেশি খেতে পারেন কারণ এতে থাকা ফাইবার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। সাইট্রাস ফলগুলো রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় এবং ত্বককে শীতকালীন নানা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও এগুলো ফ্রি র‍্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে। ত্বকে এসব র‍্যাডিকেল যত কম থাকবে, ত্বক ততই সজীব থাকবে।

শুকনো ফল
শুকনো ফলগুলোর মধ্যে রয়েছে বাদাম, কিসমিস, খেজুর, আখরোট ইত্যাদি। শুকনো ফলগুলোতে ভালো কোলেস্টেরল, আয়রন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং আরো অনেক দরকারি উপাদান থাকে। এই সমস্ত পুষ্টি উপাদানগুলো চুলের ঘনত্ব বজায় রাখে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকেও ত্বককে বাঁচায়। ত্বককে ভেতর থেকে স্বাস্থ্যবান করে শুকনো ফল। এতে থাকা ভিটামিন শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরম রাখে।

চেরী

ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে শুকনো চেরী। ত্বকের মরা কোষ দূর করে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে এটি।