লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১২

0
75
লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১২
লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১২

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে ফুল দেয়া শেষে ফেরার পথে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় আলেকজান্ডার বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন ও পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা দিদারুল আলম খন্দকারসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে।

আলেকজান্ডার বাজার থেকে তাদের দুইজনকে আটক করে পুলিশ। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও নেতাকর্মীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৯টায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ফুল দেয়া শেষে ফেরার পথে আলেকজান্ডার এলাকায় বিএনপির লোকজন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলীয় নেতার্মীদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক স্লোগান দেন।

এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানালে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। এতে রামগতি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম, লিটনসহ উভয়পক্ষের ১২ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পরে পুলিশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন ও কাউন্সিলর দিদারুল আলম খন্দকারসহ বিএনপির দুইজনকে আটক করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকের প্রতিবাদে আলেকজান্ডার বাজারে ছাত্রদল ও যুবদলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

তবে রামগতি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন ভিপি হেলাল জানান, ফুল দিয়ে ফেরার পথে বিএনপির লোকজন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলীয় নেতার্মীদের বিরুদ্দে উস্কানিমূলক স্লোগান দেন। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানালে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে তাদের ১২ কর্মী আহত হয়।

জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এডভোকেট হাসিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ১০ জন আহত হয়। পাশাপাশি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন ও কাউন্সিলর দিদারুল আলমকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে। এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি দ্রুত আটককৃতদের মুক্তির দাবি করেন তিনি।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দু’জনকে আটক করা হয়েছে। অশালীন স্লোগান দেয়ায় তারা জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।