ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে

0
34
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর প্রভাবে সাগর উত্তাল। এ কারণে সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী দুই-তিন দিন দেশে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।

শনিবার রাতে এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করে আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী দুদিন এরকম আবহাওয়া থাকবে। মঙ্গলবার থেকে আবহওয়া আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করবে ‘।

এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ নিম্নচাপের প্রভাবে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

দেশের অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি অথবা অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর এবং দুর্বল হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি শনিবার বিকালের দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫ কিলোমিটার দূরে ছিল। রাতে এটি আরও এগিয়ে ৯৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদঃ বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

একইভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ৯৬৫ কিলোমিটার দূরে, এখন ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ৮৪০ কিলোমিটার দূরে, এখন ৭৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ছিল ৮৬৫ কিলোমিটার, এখন ৮১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।

গভীর নিম্নচাপটির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যেই আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।